শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
ছত্রাকনাশক ওষুধে নষ্ট হলো তানোরের হাজার বিঘা আলু

ছত্রাকনাশক ওষুধে নষ্ট হলো তানোরের হাজার বিঘা আলু

ছত্রাকনাশক ওষুধে নষ্ট হলো তানোরের হাজার বিঘা আলু
ছত্রাকনাশক ওষুধে নষ্ট হলো তানোরের হাজার বিঘা আলু

তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোর উপজেলায় ছত্রাকনাশক ওষুধ স্প্রে করার পর অন্তত এক হাজার বিঘা জমির আলুর ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা প্রায় ৬০ জন। তানোরের বিভিন্ন এলাকায় তাদের বাড়ি। জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তারা এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন।

গতকাল শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন চাষি তার কাছে ছুটে যান। তারা সৈয়ব আলীকে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। সেখানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তানোরের চাষিরা উপজেলা সদরের ‘মেসার্স সৈয়ব আলী ট্রেডাসর্’ থেকে এই ওষুধ কিনেছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির মালিক সৈয়ব আলী ওষুধ কোম্পানিটির পরিবেশক।

কৃষকরা জানিয়েছেন, আলুক্ষেতে ছত্রাক ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে তারা ‘এন্ট্রাকল’ নামের একটি ওষুধ স্প্রে করেছিলেন। এরপরই তাদের আলুগাছ হলদে হয়ে মরে যেতে শুরু করেছে। অনেকের আলুক্ষেত একেবারে ফাঁকা হয়ে গেছে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা এর কোন সমাধান দিতে পারছেন না।

উপজেলা সদরে আসা শুকদেবপুর গ্রামের কৃষক শামিম হোসেন বলেন, এ বছর তিনি সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। সব ধরনের ছত্রাক আর মোড়ক থেকে আলুগাছ রক্ষার জন্য শুক্রবার তিনি জমিতে ওষুধ স্প্রে করেন। শনিবার সকালে জমিতে গিয়ে দেখেন সব আলুগাছ পুড়ে গেছে।

আরেক চাষি আসমত আলী বলেন, তিনিও এ বছর দুই বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলেন। তারও একই অবস্থা। তারা বলেন, তাদের এলাকার ৫০ থেকে ৬০ জন আলু চাষির অন্তত এক হাজার বিঘা আলুর ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। তারা এখন ক্ষতিপূরণ চান। নইলে মামলা করবেন।

ওষুধটি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘বেয়ার ক্রপসায়েন্স লিমিটেড’ এর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। প্রতিষ্ঠানটির তানোরের পরিবেশক সৈয়ব আলীও কোন কথা বলতে চাননি। ফোন ধরেননি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম। তাই তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকুবল হাসান বলেন, তার কাছে এ ব্যাপারে লিখিত কোন অভিযোগ নেই। তবে তিনি বিষয়টি শুনেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা যেন ক্ষতিপূরণ পান সে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি কর্মকর্তা বিষয়টি দেখছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক যদি মামলা করতে চান সেটাও নেওয়া হবে।

মতিহার বার্তা ডট কম: ২০ ডিসেম্বর ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply